পণ্যের দাম ঠিক করার কৌশল

🎯পণ্যের দাম ঠিক করার কৌশল 🎯

🧍ছোটবেলায় স্কুলের অংকের মার্কসের উপর একটা কৌতুক পড়েছিলাম।

💁যেটা ছিল অনেকটা এরকম-

🙆ছেলে অংকে কত পেয়েছে জিজ্ঞেস করার পর ছেলে বলে হারুন আংকেলের ছেলে ২০ পেয়েছে,

🤵ছেলের বাবা আবার জিজ্ঞেস করার পর ছেলে বলে আলম সাহেবের ছেলে ২৫ পেয়েছে, বাবা রাগান্বিত হয়ে বলে, “আরে, হারামজাদা তুই কত পেয়েছিস?”

💁ছেলে বলে সবাই যখন ফেল করেছে, আমি পাস করেছি ভাবো কোন দুঃখে?

🏫স্কুলের রেজাল্ট দিলে মা-বাবা কত পেয়েছি জিজ্ঞেস করার পর জিজ্ঞেস করত, “হাইয়েস্ট কত” আমি ৮৫- পাই না ৯৫ পাই ব্যপার না। হাইয়েস্টের সাথে তুলনা করার পরই মার থেকে পিঠ বাচাতাম। ক্লাসে রুই-কাতলা কেউ কম নাম্বার পেলেই আমার পোয়াবারো। তাদের কম পাওয়াকে বাবার সামনে আলাদা ভাবে তুলে ধরে কিছুটা রক্ষা পেতাম।

🎯এই কম পাওয়া বেশি পাওয়া হচ্ছে আমাদের “Frame of reference” আর Frame of reference কে ম্যানিপুলেট করেই ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম ঠিক করে।

🙋🏻মনে করুন, আপনি একজন 🎯মার্কেটার। ক্লায়েন্ট আপনাকে একটা ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রিপশন প্রাইস সেট করতে বলল যার আবার হার্ডকপিও পাওয়া যায়। আপনার টার্গেট মার্কেট হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

📌আপনি সেট করলেন-

অমুক ম্যাগজিনের অনলাইন সাবস্ক্রিপশন মাসে ২০০ টাকা

হার্ডকপি+ অনলাইন ভার্সন- ৩৫০ টাকা

এবার এর মধ্যে টাকা সেভ করার জন্য সবাই অনলাইন ভার্সনই চাইবে। কারণ, এর ফ্রেইম অফ রেফারেন্স ৩৫০ টাকা, যা একটা অহেতুক খরচ

📌আপনি যদি সেট করেন-

মাসিক ১০ টা আর্টিকেল ৫০ টাকা

হার্ডকপি- ৩৫০ টাকা

হার্ডকপি+ অনলাইন ভার্সন ৩৫০ টাকা

📌আপনি এবার ফ্রেইম অফ রেফারেন্সট সেট করলে হার্ডকপি ৩৫০ টাকা। মানুষ এবার কোনদিকে যাবে আপনি জানেন ভালো করে

💁ঠিক একই কাজ করে রেস্টুরেন্ট মালিকরা, সিনেমা হলে ক্যান্টিন মালিকরা সেই সাথে আরো অনেক ব্যবসায়ী। একে ইংরেজিতে বলে Decoy Effect। এর বাংলা হল প্রলোভিত করা, এর মানে আপনাকে মালিক সেই দিকেই নিয়ে যাবেন যেটা সে চান।

🧏আপনি হয়ত ভাবছেন, অমুক প্যাকেজ পছন্দ করে আপনি জিতে গিয়েছেন?

না স্যার, The house always wins!

Copyed🎗️!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top