যে 6 টি বিষয় খেয়াল রাখলে আপনার ফেসবুক অ্যাডের ডলার কস্ট কম হবে। ইনশাআল্লাহ

1️⃣ কন্টেন্ট

2️⃣ক্যাপশন

3️⃣ হেডলাইনে

4️⃣প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি বা গ্ৰাফিক্স

5️⃣ সঠিক অডিয়েন্স 🎯টার্গেটিং

6️⃣ প্লানিং এবং ফানেলিং

চলুন উপরের 6 বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করি।

🔹1️⃣ কন্টেন্ট –

আপনি ফেসবুকে যে বিজ্ঞাপনটি দিচ্ছেন।সেই বিজ্ঞাপনে আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট দিচ্ছেন। অথাৎ আপনি অডিয়েন্স কে বুঝাতে কি ধরনের ভিডিও বা ইমেজে কন্টেন্ট দিচ্ছেন।

অডিয়েন্স কে প্রথম ১/২ লাইনে বা ৫-১০ সেকেন্ড এমন ভাবে দেখাতে বা বোঝাতে হবে,যাতে সে সম্পুর্ণ দেখে বা পড়ে।

আপনি কি গুলিস্তানের হকারের মতো কন্টেন্টে দিচ্ছেন। নাকি প্রফেশনাল ভাবে কন্টেন্ট দিচ্ছেন ।

তাই আপনাকে কন্টেন্টের উপর নজর দিতে হবে।যাতে অডিয়েন্স পরিপূর্ণ কন্টেন্ট দেখে এবং একশন নেয়।

🔹2️⃣ক্যাপশন:-

আপনি কন্টেন্ট প্রফেশনাল ভাবেই দিয়েছেন। কিন্তু আপনি ক্যাপশনে ভুল করেছেন।

অডিয়েন্সের কাছে যখন আপনার অ্যাড পৌছায়।তখন এই ক্যাপশনের See more পর্যন্ত দেখায়।

আপনাকে ক্যাপশনে এমন কিছু লিখে দিতে হবে,যাতে অডিয়েন্স আগ্ৰহী হয়ে কন্টেন্ট পরিপূর্ণ দেখে এবং একশন নেয়।

তাই আপনাকে ক্যাপশনের দিকেও নজর দিতে হবে।

🔹3️⃣হেডলাইনে-

আপনি যখন কোন পোস্ট করে অ্যাড দিবেন।তখন ঐ পোস্টের ক্যাপশনের হেডলাইন যেটি প্রথমে থাকে।সেটি আপনাকে প্রফেশনাল ভাবে লিখে দিতে হবে।

এবং যখন আপনি অ্যাডের মধ্যে পোস্ট তৈরি করবেন।তখন আলাদাভাবে হেডলাইন দেওয়া যায়। সেই হেডলাইনটি আকর্ষিত ভাবে লিখতে হবে।যাতে অডিয়েন্স আগ্ৰহী হয়ে একশন নেয়।

আপনাকে হেডলাইনের উপর ও নজর দিতে হবে।

🔹4️⃣প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি বা গ্ৰাফিক্স –

আপনি যখন কোন প্রডাক্টের জন্য অ্যাড দিবেন।তখন অবশ্যই প্রোডাক্টের ছবি কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে।

আপনি প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি করাতে পারলে বেশি ভালো হয়।

আর যদি ইমেজ ব্যাবহার করেন। তাহলে গ্ৰাফাক্সের দিকে নজর দিতে হবে।

তাই অবশ্যই প্রোডাক্টের ফটোগ্রাফি অথবা ইমেজে গুরুত্ব দিতে হবে।

🔹5️⃣ সঠিক অডিয়েন্স 🎯টার্গেটিং-

সঠিক অডিয়েন্স 🎯টার্গেটিং বলতে আপনার অডিয়েন্সের Democracy, Intereste, Behavior,

এগুলো রিসার্চ করার পরে অডিয়েন্স Details 🎯Targeting করলে ভালো রেজাল্ট আসবে।

আপনি চাইলে Narrow Targeting 🎯 ও করতে পারেন। আপনার কাছে যদি Customer Avatar থাকে। তাহলে আপনার Targeting 🎯 করতে ভালো হবে।

6️⃣ প্লানিং এবং ফানেলিং-

উপরের সবগুলোই ঠিক ভাবে করার আগে অবশ্যই আপনাকে অ্যাডের জন্য একটি প্লান করতে হবে এবং এই প্লানটাকে ফানেলিং এর মধ্যে নিয়ে কাজ করতে হবে।

আপনাকে Audience Journey ক্লিয়ার করতে হবে। অ্যাডের প্লান করতে হবে।

কোন অডিয়েন্স কে কি দেখিয়ে কোথায় নিয়ে যাবেন।সেটি ক্লিয়ার করতে হবে।

অ্যাডের মাধ্যমে ৩% Hot Audience এর কাছে সেল হয়। বাকি ৯৭% বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে।

এটি হলো

“The largest Market Formula”

যেখানে-

3% Buying Now

17% information Gathering Mode

20% Problem Aware

60% Not problem aware

আপনি প্লান ও ফানেল ছাড়া এডের মাধ্যমে অডিয়েন্সের ৩% অডিয়েন্সের কাছে সেল করতে পারবেন।

কিন্তু যখন আপনি প্লান ও ফানেল করে কাজ করবেন।তখন আপনার প্লান ও ফানেলে শুধু ৩% Buying Now অডিয়েন্সকে নিয়ে থাকবে না।তাখন বাকি ৯৭% অডিয়েন্স কে নিয়েও থাকবে।

(এডের প্লান ও ফানেলে করার সময়ে উপরের The largest Market Formula নিয়ে ও কাজ করবেন)

সুতরাং উপরের ৬ টি বিষয় খেয়াল করলে আপনার এডের কস্টিং কমে যাবে।ইনশাআল্লাহ

এই ৬ টি বিষয় আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি।

©Md Jihad

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top